আরজি কর কাণ্ডে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে চেয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বৃহস্পতিবার নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে রাজ্যের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, চেয়ারের উপর তাঁর কোনও লোভ নেই। দরকারে তিনি চেয়ার ছেড়ে দিতে তৈরি। কিন্তু তিনি নির্যাতিতার বিচার চান।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ছিল আরজি কর মামলার শুনানি। এদিন একাধিক সওয়ালের জবাবের শেষে আদালতের মধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন এক আইনজীবী। তাঁকে কার্যত ধমকের সুরেই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়া জানান, মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া তাঁদের কাজ নয়।
প্রধান বিচারপতি জানান, এটা কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। বিচারের পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। তাঁরা চিকিৎসকদের চিন্তার বিষয়গুলি দেখছেন। এরমধ্যে যদি কেউ মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের নির্দেশ দিতে হবে বলে দাবি তোলেন, সেটা হতে পারে না। এটা আদালতের কাজ নয়।
বৃহস্পতিবার নবান্নের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে গিয়ে হাজির হন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেও তিনি একই দাবি করেছিলেন। পাল্টা জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন না। তাঁরা চান স্রেফ দোষীদের শাস্তি হোক। কারণ, চেয়ারের উপর ভরসা রয়েছে বলেই এই আর্জি।
শত টালবাহানার পর অবশেষে সোমবার আরজি কর জট কাটাতে কালীঘাটে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয় জুনিয়র ডাক্তারদের। সেই বৈঠকের মিনিটস এদিন জমা পড়েছে আদালতে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, এই মিনিটস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সুপ্রিম কোর্ট তার রেকর্ডে রেখে দিল।