ধারাবাহিক মিঠিঝোরা-য় আসতে চলেছে বড় টুইস্ট । ফের কি এক হবে রাই-অনির্বাণ ? নাকি ভুল বোঝাবুঝি, দূরত্ব আরও বাড়বে ? এডিটরজি বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে সত্যিটা ফাঁস করেই দিলেন অনির্বাণ ওরফে সুমন দে । একইসঙ্গে শেয়ার করলেন নিজের জীবনের কথা । জানেন কি সুমনের একেবারেই অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছা ছিল না । জিম ট্রেনার থেকে কীভাবে অভিনেতা হয়ে উঠলেন, সেই গল্পই শোনালেন ।
কবে এক হবে রাই অনির্বাণ ?
এটা তো অনির্বাণের পক্ষে বলা খুবই কঠিন । কারণ এটা লেখিকা সিদ্ধান্ত নেন । তিনি জানেন । গল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন লেখিকাই । আমরা অভিনেতা । আমাদের কাছে স্ক্রিপ্ট আসে, সেগুলোই মুখস্থ করে পড়ি । তারপর অভিনয় করি । এই বিষয়ে বলতে পারব না । একটা টুইস্ট বা সারপ্রাইজ তো থাকবেই । নায়ক-নায়িকার মিল দেখতে সবাই পছন্দ করেন । ...সবই দর্শকদের কাছে চমক । রাই-অনির্বাণ এক হবে কি হবে না, সেটা আমি ঠিক জানি না, লেখিকাই জানেন (হাসি)
অনির্বাণের চরিত্র করতে গিয়ে কোনও অভিজ্ঞতা...
হ্যাঁ, অভিজ্ঞতা তো আছেই । সম্প্রতি, সরস্বতী পুজোর সময় আমার সোসাইটিতে কয়েকজন অতিথি যেমন আমাকে বলেছে, 'তুমি এটা খুব খারাপ করছ । ' সব নেগেটিভ চরিত্রকেই এরকম বলা হয় । কিন্তু, সিরিয়ালের 'পজিটিভ লিভ'-কে এমন কথা শুনতে হচ্ছে, এটা অন্যরকম । কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায়, আমাকে সেরা নায়কের জন্য ভোট করার একটা পোস্ট দেখলাম । সেখানেও কমেন্ট করা হয়েছে, আমাকে নায়ক নয়, খলনায়কে ভোট করা উচিৎ । বেশ মজা লাগে ।
অনির্বাণের জায়গায় সুমন থাকলে কী করতেন ?
এখন মানুষের মধ্যে ধৈর্যটা খুব কম । আর অনির্বাণের চরিত্রটা এই যুগের, এই সময়ের গল্প দেখানো হচ্ছে । এই সময় দাঁড়িয়ে অনির্বাণের জায়গায় কোনও ছেলে থাকলে আমার মনে ও মুভ অন করে যেত । কিন্তু, অনির্বাণ এখনও রাইকে ভালবাসে । ভালবাসার প্রতি যে অনির্বাণের বিশ্বাস, রাইয়ের প্রতি যে ধৈর্য, এটা অসম্ভব । এই লাভ স্টোরির মধ্যে যেমন রাগ আছে, অভিমান আছে, ব্যথা আছে, তেমনই কোথাও গিয়ে একটা প্যাশনও আছে ।
আরাত্রিকার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ?
ভাল সম্পর্ক । একজন সহকর্মীর সঙ্গে আরেকজন সহকর্মীর যেমন সম্পর্ক হয় । দুই বন্ধুর মধ্যে যা হয়, কখনও মান-অভিমানও হয়, কখনও ভালবাসাও হয়, কখনও একসঙ্গে পার্টি করছে, কখনও রাগ হচ্ছে, অভিমান হচ্ছে, আবার কথাও বলছে...একেবারেই বন্ধুর মতো সম্পর্ক ।
সুমন দে-র কেরিয়ারেও স্ট্রাগল কম নেই । শিলিগুড়ির ছেলে অনির্বাণ মডেলিং করতেন । কিন্তু অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছে তাঁর একেবারেই ছিল না । মুম্বইয়ে জিম ট্রেনার হিসেবে কাজ করতেন খুব কম টাকায় । কলকাতায় কোনও রাস্তাঘাট সেভাবে চিনতেন না । একটাসময় এমন পরিস্থিতি আসে যে, বাড়ি ভাড়া দিতে পারতেন না । তারপর একদিন সুযোগ আসে । তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি । তবে, তাঁর কেরিয়ারের মোড় ঘোরায় বধুবরণ ধারাবাহিকটি ।