শুরুতেই একটা কথা স্বীকার করে নেওয়া যাক। আমাদের দেশে এখনও শুধু ক্যালেন্ডারেই ২০২২। নারী স্বাধীনতার নিরিখে বেশ কয়েক দশক পিছিয়ে ভারত। তবে ব্যতিক্রম রয়েছে। আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে রইল টলিউড- বলিউডের গ্ল্যামার দুনিয়ার কিছু ব্যতিক্রমের উল্লেখ।
দীপিকা পাড়ুকোন- (Deepika Padukone)
পদ্মাবত অভিনেত্রী প্রথম প্রকাশ্যে আনলেন, মনের অসুখের কথা। জানালেন গ্ল্যামার দুনিয়ায় সাফল্যের চুড়োয় থেকেও অবসাদ ঘিরে ধরতে পারে অভিনেত্রীদের। এবং তা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করা যায়। পেশার ওপর তার প্রভাব পড়ে না।
সাই পল্লবী- (Sai Pallavi)
দক্ষিণী ছবিতে অত্যন্ত সফল অভিনেতা সাই পল্লবী। ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন করতে রাজি হননি সাই পল্লবী। কারণ তিনি মনে করেন, ভারতের মতো দেশে, যেখানে অধিকাংশ মানুষের গায়ের রং 'ধবধবে সাদা নয়', এবং যখন গায়ের রং সৌন্দর্যের মাপকাঠিও নয়, সেখানে, ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন করা অত্যন্ত আপত্তিকর।
নুসরত জাহান- (Nusrat Jahan)
গত এক বছর ধরে বাংলা বিনোদন জগতে বিতর্কের আরেক নাম হয়ে থেকেছেন নুসরত। মা হয়েছেন, গর্ভাবস্থায় সন্তানের বাবার নাম সামনে আনেননি, সন্তানের জন্মের পর যখন বাবার নাম প্রকাশ্যে এসেছে, তখন আবার তাঁর সঙ্গে অভিনেত্রীর বৈবাহিক সম্পর্ক আছে কিনা, তা নিয়ে মুখ খোলেননি। অর্থাৎ নিজের শর্তে বেঁচেছেন অভিনেত্রী। বুঝিয়েছেন, পেশাগত জীবন আর ব্যক্তিজীবনের মাঝে আড়াল টানা, না টানা সবটা তিনিই ঠিক করবেন, জীবন টা যেহেতু তাঁরই।
শ্রুতি দাস- (Sruti Das)
বাংলা টেলিভিশনের চেনা মুখ, তবে কাজ এমন করেছেন, যে টলিউড-বলিউডের অভিনেতাদের সঙ্গেই উচ্চারণ করতে হয় এই নাম। গায়ের রং নিয়ে 'ট্রোল্ড' হয়েছিলেন। পারতেন চুপ করে থাকতে, থাকেননি। বরং আঙুল তুলেছেন সমাজের দিকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের 'চাপা রং' লুকিয়ে রাখেন না শ্রুতি, বরং গর্ব করেন।
শ্রুতি থেকে সাই পল্লবী, এদের লড়াইয়ের আঁচ একদিনে বদলে ফেলবে না সমাজটাকে। তবে মানুষ এক দিন না একদিন ঠিক বুঝবে, নারীর সৌন্দর্য , মনের ভালো থাকা খারাপ থাকা, তাঁর আড়াল, তাঁর মা হওয়ার অথবা না হওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁর নিজের। সমাজের অদৃশ্য স্কেল গুলো একদিন মুছে যাবে।