চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির সৃষ্টি মোনালিসা। বর্তমানে যা ফ্রান্সের লুভ্র মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে। ছবিতে মোনালিসার রহস্যময় হাসি যুগ যুগ ধরে আলোচনার বিষয়, তাঁর চোখের চাহনি যেন আপনাকে অনুসরণ করছে। একে বলা হয় "Mona Lisa Effect"। লুভ্র মিউজিয়ামে এটি দেখতে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার দর্শনার্থী ভিড় করেন! ১৫০০ শতকের সেই মোনালিসার মতই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আরও এক মোনালিসা। তবে এই মোনালিসা রক্তমাংসের। এর নেপথ্যেও হাসি এবং চোখের চাহনি।
গত কয়েকদিন ধরেই লাইমলাইটে প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh Mela 2025) । ১৪৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া এই মহাকুম্ভকে বলা হয় বিশ্বের সব থেকে বড় জনসমাগম। এই মেলা ঘিরে রোজই নিত্যনতুন ঘটনা ঘটছে। কোটি কোটি মানুষের এই মিলন মেলায় ভাইরাল হয়েছে একাধিক মুখ। কুম্ভ মানে আক্ষরিক অর্থেই মিলন মেলা। কথায় আছে এই মেলায় এলে নাকি ভারতকে বোঝা যায়। সত্যি সত্যিই বদলে যায় কারও কারও ভাগ্যও। আর এই মহাকুম্ভেরই অন্যতম সেনসেশন হয়ে উঠেছেন মোনালিসা, তিনি একজন মালা বিক্রেতা।
পুণ্যস্নান সারতে গিয়ে হাজার হাজার ইউটিউবার তাঁকে ঘিরে ভিড় জমাচ্ছেন। বছর ১৬ এর এই তরুণীর ধূসর কটা চোখ, এবং অনাবিল হাসিতে মজেছে গোটা নেটদুনিয়া। তাঁর রূপের ছটায় মুগ্ধ আট থেকে আশি। তবে এই কাণ্ডে বেজায় বিরক্ত মোনালিসা। এই ছবি তোলার ঠেলায় লাটে উঠেছে তাঁর ব্যবসা। ভিড় সামলাতে গিয়ে মার খেতে হয়েছে মোনালিসার ভাইকেও। মুখোশে মুখ ঢেকে, জ্যাকেটে শরীর ঢেকে মোনালিসাকে কোনওরকমে পৌঁছতে হচ্ছে বাড়িতে। ছবিটুকু তোলার আগে কখনও কখনও নেওয়া হচ্ছে না তাঁর সম্মতিও। খ্যাতির বিড়ম্বনায় মেলা ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল মোনালিসাকে। মোক্ষ কাম ত্যাগ করে পুণ্যার্জনের ভূমিতে এই মোনালিসাপ্রীতি তাঁকে কী দিল তাহেল?
দিয়েছে এক দারুণ সুযোগ। আগেই শোনা গিয়েছিল পুষ্পা ৩ ছবিতে অভিনয় করবেন মোনালিসা। তাঁকে নাকি আল্লু অর্জুনের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে নাকি তাঁকে পেতে চাইছে দক্ষিণী দুনিয়া। এবার জানা গেল, পরিচালক সনোজ মিশ্রর ‘দ্য ডায়েরি অফ মণিপুর’ ছবিতে অভিনয় করবেন মোনালিসা। তাঁর নতুন ছবির কাস্ট করেছেন তিনি কুম্ভের এই ভাইরাল তরুণীকে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী এই তরুণী লেখাপড়া করেননি, পাথরের মালা বিক্রিই ছিল তাঁর জীবিকা। তাই এমন সুযোগ যদি তাঁর জীবিকার অন্য একটা দিক খুলে দেয়, ষোড়শী মেয়ের পাওয়া বোধহয় এটুকুই।