গোয়ায় শুরু হয়েছিল বলিউডের এক নতুন লভ স্টোরি। নায়ক বিজয় ভার্মা। আর নায়িকা তমান্না ভাটিয়া। না, রিল লাইফে নয়, ফ্যানা লাগা ঢেউয়ে পা ভিজিয়ে রিয়েল লাইফে এই প্রেম শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালে। এর পিছনে একটা কারণ অবশ্যই ছিল। এর কিছুদিন আগেই লাস্ট স্টোরি-টু-তে একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা দু জনে।
শুধু কী তাই, সিরিজ ফ্লোরে আসার আগেই তমান্নার ঘোষণা ছিল, অনস্ক্রিন তিনি বিজয়কেই প্রথম চুমু খাবেন। নায়িকার এই ঘোষণা শুনে হয়তো নায়কের বুকের ছাতি হয়তো ছাপান্ন ইঞ্চি হয়ে গিয়েছিল। আর সেই সূত্র ধরেই ফ্লোরের বাইরেও শুরু হয়েছিল তমান্ন-বিজয় কি প্রেমগাথা।
নিউ ইয়ার্স কি মুম্বইতে সেলিব্রেট করা যায় ?
নতুন প্রেমে পড়লে তো নয়ই। তাই বম্বে টু গোয়া। ভাবুন দৃশ্যটা নতুন বছরে রাতে গোয়া আকাশ ভরা আতসের আলো। আর তার নিচে তমান্নার ভরটা ঠোঁটে বিজয়ের উষ্ণতা ভরা চুম্বন। না ক্যামেরা বন্দি নয়। এটাই ছিল বাস্তব। চুমু যখন একবার খাওয়া হয়ে গিয়েছে, তাহলে আর রাখঢাক কেন ?
না, বাড়ির খাটের তলায় আর নিজেদের প্রেমকে লুকিয়ে রাখেননি বিজয়-তমান্না। বরং এয়ারপোর্ট থেকে যে-কোন প্লাবলিক প্লেসে তাঁদের দেখা যাচ্ছিল হাতের উপর হাত রেখে। কিন্তু সব প্রেমেই তো ভিলেন থাকে, তাই না ? বিজয়-তমান্নার প্রেমে ভিলেন কে ? তৃতীয় কোনও ব্যক্তি, না কি বিয়ে করার জন্য সামাজিক চাপ ?
এখানেই তো গল্প মশাই। যাঁরা একসঙ্গে বাড়ি খুঁজছেন, পাশাপাশি থাকছেন, তাঁদের জীবনের রহস্য কোথায় ? মুড়ি তৈরি আছে। বলি পাড়া শুধু এই মশালাটা খোঁজার চেষ্টা করছে, যেটা পেলেই মশলামুড়ি মাখা হয়ে যাবে। তা কিছু পাওয়া গেল কী ?
বাড়ির পাঁচিল টপকে যা খবর, তাতে বছরের গোড়া থেকেই নাকি বিজয়কে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। চাপ আসছিল তমান্নার বাড়ির দিক থেকে। তাতেই কি ভয় পেয়ে ডার্লিংসের থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন বিজয় ? যাচ্ছেন কেন, গেলেন না কেন ? ওটাই তো ফেলুদা, রহস্য তো এখানে। কারণ, যাঁদের বিয়ে তাঁদের হুশ নেই, পাড়া পড়শির ঘুম নেই।
পড়শিরা বলছেন, বিয়ের ভয়ে দূরে সরেছেন বিজয়। কিন্তু তমান্নকে এখনও নাকি আনফলো করেননি। বেচারা মণীশ মালহোত্রা। বিয়ের জামা-কাপড়ের অর্ডার নিয়ে এখনও কাঁচি না চালিয়ে বসে আছেন। বলুন তো, ভাল লাগে।
বলিউডের মন খারাপ, কোথায় একটা বিয়ের বাসরে কয়েকদিন মজে থাকা যেত। তা নয়, এই বসন্তে হঠাৎ দূরত্ব। বড্ড বেরসিক বিজয়া। আর তমান্না। ২৯ জানুয়ারি তাঁর পোস্ট, ভালবাসা পাওয়ার সবচেয়ে বড় উপায় হল অন্যকে ভালবাসা দেওয়া। কারও মনোযোগ পাওয়ার সবচেয়ে বড় উপায় হল অপর জনকেও মনোযোগ দেওয়া। নিজেকে সকলের চোখে সুন্দর করে তোলার সবচেয়ে বড় পদ্ধতি হল, অন্যদেরও সুনজরে দেখা। বন্ধু পাওয়ার রাস্তা হল নিজেই ভাল বন্ধু হয়ে ওঠা।