কোন ঘটনায় জানেন। কথা হচ্ছে বলি-অভিনেতা সইফ আলি খানের হামলার ঘটনা নিয়ে। কারণ, মুম্বই পুলিশের একাংশ দাবি করেছে, নবাবের উপর হামলা এই ঘটনায় ধৃত শরিফুলের একা করা সম্ভব নয়। ওই সূত্রে দাবি, এই ঘটনায় আরও কেউ এর পিছনে থাকতে পারে। তবে তারা কারা, সেটাই এখন প্রশ্ন।
যদিও সইফের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে কানাঘুঁষো ইতিমধ্যেই কথা উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ কি বলি-অভিনেতার উপর হামলা হয়েছিল। যাঁরা এই প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের যুক্তি, যেভাবে লীলাবতি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সইফ বাড়িতে ঢুকেছিলেন, তাতে তাঁর হাটাচলা দেখে কখনই মনে হয়নি, যে তাঁর শিরদাঁড়ার পাশে আড়াই ইঞ্চি ক্ষত করে কোনও ছুরি আটকে ছিল।
তবে, মুম্বই পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে সইফ আলি খান শরিফুলের নামই নিয়েছেন। ওই রাতে কি হয়েছিল, তা জানিয়েছেন মুম্বই পুলিশকেও। এরপরেও কেন মুম্বই পুলিশের সন্দেহ, এই ঘটনায় অনেকেই থাকতে পারে ? তাহলে কি বলি-অভিনেতা কোনও তথ্য পুলিশের কাছে চেপে গিয়েছেন ?
মুম্বই পুলিশের ওই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় খুকুমণি জাহাঙ্গির নামের একজনের নাম উঠে এসেছে। খুকুমণির সঙ্গে শরিফুলের কী সম্পর্ক তা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুকুমণি পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার বাসিন্দা। তাঁর খোঁজে মুম্বই পুলিশের একটি দল নদিয়া এসেছে।
আপাতত ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকতে হবে শরিফুলকে। তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, সইফের উপর হামলার ঘটনায় শরিফুলের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত। সে সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে শরিফুলকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।