লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের ঠিক আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম। বুধবার রাতে এক BJP-র কর্মীর মাকে খুন করার অভিযোগ ওঠে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তিনিও গেরুয়া শিবিরের সমর্থক। সেই ঘটনার পরেই রণক্ষেত্রর চেহারা নিল ওই এলাকা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সোনাচূড়ার মনসাপুকুর বাজারে গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে BJP। একটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং রাজ্য পুলিশ। জমায়েত হঠাতে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।
Read More- ভোটগ্রহণের আগেই উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম, BJP-কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ! অস্বীকার শাসকদলের
BJP-র এক কর্মীর মাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকায়। মৃত ওই কর্মীর নাম রথিবালা আড়ি। এছাড়াও ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর ছেলে সঞ্জয় আড়ি এবং আরও ৭ জন BJP কর্মী। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে সোনাচূড়া এলাকায় পাহারা দিচ্ছিলেন BJP কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ, সেসময় বাইকে করে কয়েকজন দুষ্কৃতী ওই কর্মীদের উপর চড়াও হয়। সেসময় রথিবালাকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি কোপ মারে তারা। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তাঁর ছেলে সঞ্জয়। এদিকে ২৫ মে নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ। তার আগে এই ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি।
পুরো বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত সেখানে পৌঁছন গ্রামবাসীরা। তাঁরা আহতদের নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রথিবালাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এবং সঞ্জয়কে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এবিষয়ে BJP-র অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্ররোচনা দিয়েছেন। আর সেকারণেই ভোটের আগেই উত্তপ্ত হয়েছে নন্দীগ্রাম।
BJP-র তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি শেখ সুফিয়ান জানিয়েছেন, নির্বাচনে হার বুঝতে পেরে অশান্তি তৈরি করছে শুভেন্দু অধিকারী। ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। BJP-র নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন হতে হয়েছে বলে দাবি তাঁর।