ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবের হয়ে প্রচার করলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক । মঙ্গলবার কাঞ্চনকে পাশে নিয়ে কেশপুরের অলিতে-গলিতে ঘুরলেন দেব । কখনও পায়ে হেঁটে সারলেন প্রচার, কখনও আবার সভামঞ্চে দেবের জন্য গলা ফাটালেন কাঞ্চন । অথচ দিন কয়েক আগে শ্রীরামপুরের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে বেরিয়ে এই কাঞ্চনকেই যথেষ্ঠ অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়েছিল । স্থানীয় মহিলাদের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার অজুহাতে কাঞ্চনকে নিজের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই নিয়ে রাজনীতিতে কম জলঘোলাও হয়নি । এবার প্রচারে সেই কাঞ্চনকে পাশে নিয়ে কি কল্যাণকে জবাব দিতে চাইলেন দেব ? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে ।
মঙ্গলবার কেশপুরের মোহনপুর এলাকায় কাঞ্চনকে নিয়ে ভোটপ্রচারে যান দেব । মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন তাঁরা । ফুল, মালায় দেব ও কাঞ্চনকে স্বাগত জানান তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা । দেব জানান, কাঞ্চন তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু । তাঁর মনে হয়েছে, কাঞ্চন এলে কর্মীদের মনোবল বাড়বে । এছাড়া, কাঞ্চনের যে অনুরাগীর সংখ্যাও বিরাট, সেটাও উল্লেখ করতে ভোলেননি দেব । বন্ধু, সহকর্মী,'ছোট ভাই'-এর সমর্থনে প্রচার এসে কাঞ্চন দাবি করলেন, এবারও ঘাটাল থেকে বিপুল ভোটে জিতবেন দেব ।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচারে গিয়ে যেভাবে 'অপদস্থ' হতে হয়েছিল কাঞ্চনকে, এদিন সেই প্রসঙ্গ উঠতেই বিধায়ক বলেন,'হাত বাড়ালেই বন্ধু’ বলে একটা বাংলা ছবি ছিল। এ বার কে কী করছেন, সেটা তো জানি না।' দেবের উদ্দেশে বলেন,'ও আমাকে কাছে টেনে নিয়েছে, এটাই যথেষ্ট। সাধারণ মানুষ রয়েছেন। তাঁদের ভালবাসা রয়েছে। এটাই তো থাকে, আর কিছু থাকে না।'
বৃহস্পতিবার প্রচার শুরুর সময়ই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই হুডখোলা গাড়িতে উঠেছিলেন কাঞ্চন মল্লিক। গাড়ি থেকে নেমে যাওয়া প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আগেও ওনাকে নিয়ে আমি প্রচারে বেরিয়েছিলাম। ওনাকে প্রচারে নিয়ে গেলে গ্রামের মহিলারা রিয়্যাক্ট করছেন। আমি আগেও বলেছিলাম গ্রামে এস না। একজন MLA -তো অন্য সময়ও প্রচার করবে। সেটা তো করছে না।"