মতুয়া। এই ভোটই ফ্যাক্টর। ঠিক যেমনটা হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। যার প্রভাব পড়েছিল রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ময়দানেও। তাই এবার লোকসভা ভোটে রানাঘাট পুনরুদ্ধারে মরিয়া বাংলার শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। উল্টোদিকে, জগন্নাথে আস্থা রেখেই এই আসন ধরে রাখতে চায় বিজেপি। বামেদের বাজি অভিজ্ঞ অখিলেশ দাস।
২০০৯ সালে লোকসভার ময়দানে আত্মপ্রকাশ রানাঘাটের। দু বার পৃথক দুই প্রার্থীকে দাঁড় করিয়ে এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পাঁচ বছর আগেও এই কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করেছিল তৃণমূল। এই কেন্দ্রে প্রথম মহিলা মুখ প্রার্থী করেও ম্যাচ বার করা যায়নি।
এবার তাই কাঁটা দিয়েই কাঁটা তুলতে চায় তৃণমূল। রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে ভোটের আগে কার্যত হাইজ্যাক করেছে তৃণমূল। ব্রিগেড থেকে নদিয়ার রানাঘাটে তাঁকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মতুয়া মুখ মুকুটমণিতে আস্থা শাসক দলের।
রবিবার কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে মতুয়াদের তাঁর উপর আস্থা রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভার আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে সিলমোহর দিয়ে রাজ্যের মতুয়াদের মন জিততে চেয়েছে বিজেপি।
ফলে রাজ্যের চতুর্থ দফার ভোটে এই কেন্দ্রে বাড়তি নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। রানাঘাট কার মাথায় জয়ের মুকুট পরাবে সেই অপেক্ষায় এখন আগ্রহ বিজেপি-তৃণমূল দু পক্ষের।