অবাক হলেও সত্যি। উত্তাল সাতের দশকে যে খুঁটি পোঁতা হয়েছিল, একবিংশ শতকে তা নিশানে পরিণত হয়। এহেন হাওড়া গ্রামীণের লোকসভা কেন্দ্র উলুবেড়িয়ায় এখনও পর্যন্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি বামেরা। করা হবে এমন কোনও ইঙ্গিত নেই আলিমুদ্দিন থেকে। অথচ কোনও জমি না থাকা সত্ত্বেও এবার উলুবেড়িয়ায় প্রার্থীর নাম আগাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। সত্যিই ভাবতে অবাক লাগে একদা উলুবেড়িয়া ছিল হান্নান মোল্লার সাম্রাজ্য। এই কেন্দ্র থেকেই তিনি আটবারের সাংসদ। এ সবই আজ ইতিহাস।
আবেগ তাস। ২০১৮ সালের উপ-নির্বাচনে এটাই খেলেছিল তৃণমূল। ফল পেয়েছিল হাতে নাতে। সুলতান আহমেদের মৃত্যুর পর কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিল সাজদা আহমেদ। রাজ্যের কোনও লোকসভার উপ-নির্বাচনে মার্জিন যে চার লাখ হতে পারে, তা উলুবেড়িয়ায় দেখিয়ে দিয়েছিলেন মমতা।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে ২ লাখের বেশি ভোটে জিতে দ্বিতীয় বারের সাংসদ সাজদা আহমেদ। অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে এবার বিজেপির প্রার্থী অরুণউদয় পালচৌধুরী। কংগ্রেস প্রার্থী করছে আজহার মল্লিককে।
সংখ্যালঘু ভোট বরাবর ফ্যাক্টর এই কেন্দ্রে। চাপ রয়েছে পরিয়াযী শ্রমিকদের নিয়েও। তবুও তৃণমূল আশাবাদী সাজদার জয় নিয়ে। তবে এবার উলুবেড়িয়ায় লড়াই একটু অন্যরকম হবে বলেই দাবি করেছে বিজেপি। কিন্তু কোথায় লড়বে গেরুয়া শিবির। কারণ, গ্রামীণ হাওড়ার সাত বিধানসভায় শুধুই ঘাসফুল।