আজ মহালয়া । বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী শুনে ঘুম ভেঙেছে বাঙালির । পিতৃপক্ষের অবসান, দেবীপক্ষের সূচনা । বেজে উঠেছে আগমনী সুর । ভোর থেকেই রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ঘাটে শুরু হয়ে গিয়েছে তর্পণ । পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে জলদানের রীতিই হল তর্পণ ।
শনিবার ভোর থেকে শহরের বিভিন্ন ঘাটের ছবিটা এক । বাবুঘাট থেকে বাগবাজার...সর্বত্র থিকথিকে ভিড় । আবার কোনও কোনও ঘাটে সকাল থেকেই তর্পণের লম্বা লাইনও নজরে এসেছে । শুধু বড় বড় ঘাট নয়, ছোট ছোট নদী বা পুকুর ঘাটগুলিতেও তর্পণ সারছেন বাঙালি । সনাতন ধর্মে এদিনটা চোদ্দ পুরুষের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের দিন । ধর্মের ব্যাখ্যা বলে, মহালয়ার এই পুণ্য তিথিতে মর্ত্যলোকে আসেন আমাদের পূর্বসূরীদের আত্মারা । তাঁদের স্মরণ করেই উৎসবের সূচনা ।
মহালয়ায় দেবীপক্ষের সূচনা হলেও, এবছর তার আগের থেকেই উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে পুজো মন্ডপগুলির । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি ৮০০ পুজোর উদ্বোধন করেছেন । মহালয়ার দিনও ভার্চুয়ালি আরও কিছু পুজোর উদ্বোধন করবেন তিনি । এদিন, নাকতলা উদয়ন সংঘ, চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সংঘ, একডালিয়া এভারগ্রিন-সহ তিলোত্তমার আরও ৫৫টি পুজো মণ্ডপের ফিতে কাটবেন মুখ্যমন্ত্রী।