মহালয়ার দিন মা দুর্গা আসেন। আবার মহালয়াতেই (Mahalaya) ফিরে যান কৈলাসে। অভিনব এই একদিনের দুর্গা পুজোই (Durga Puja 2023) আসানসোলের বার্নপুরের ঐতিহ্য। প্রতি বছরেই হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামে দেবী পক্ষে আগমনী দুর্গাপুজো শুরু হয়ে যায়। সেই মতোই শনিবার ভোর থেকেই সাজো সাজো রব। গোটা গ্রাম মেতেছে পুজোর আনন্দ।
দামোদরের নদীর তীরে ধেনুয়া গ্রামে রয়েছে কালীকৃষ্ণ আশ্রম। মহালয়ার ভোর থেকেই এই গ্রামে শুরু হয়ে যায় দুর্গা পুজো। তার আগের রাতে এই একই মন্দিরে রাতে অমাবস্যায় কালী পুজোও হয়। তারপর ভোর থেকে শুরু হয়ে যায় আগমনী দুর্গার আবাহন।
একদিনেই সপ্তমী অষ্টমী ও নবমী ও দশমী। চার রকমের ভোগের আয়োজন করা হয় একদিনেই। দশমীর পুজো শেষে ঘট বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে, দুর্গা প্রতিমা রেখে দেওয়া হয় মন্দিরে। দুর্গাপুজোর দশমীর দিনে নিরঞ্জন করা হয়। একদিনের এই পুজো দেখতে বহু দূরদূরান্ত থেকে আসেন মানুষরা।
আরও পড়ুন - দেবীপক্ষের সূচনায় কপিলমুনি আশ্রমে ভিড়, গঙ্গাসাগরে চলছে তর্পণ, একই ছবি বাবুঘাটেও
১৯৩০ সালে এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠা হয়। মহামায়া অর্থাৎ আগমনী দুর্গা পুজো শুরু হয় ১৯৭৮ সাল থেকে। একদম প্রথমদিকে আগমনী দুর্গার রূপ ছিল অগ্নিবর্ণা পরে স্বেতশুভ্র, এখন রং বাসন্তী। দশভূজা দেবী এখানে সিংহবাহিনী হলেও অসুরদলনী নন। আগমনী দুর্গার সঙ্গে থাকেন দুই সখী জয়া ও বিজয়া।
এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ও সেবাইত ছিলেন জ্যোতিন মহারাজ। তাঁর গুরুদেব তেজানন্দ ব্রহ্মচারী স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো চালু করেছিলেন। বছর পাঁচেক আগে সেবাইত জ্যোতিন মহারাজ মারা যান। এখন পুজো করেন গ্রামের মানুষজন।