কয়েক দশক পেরিয়েছে। বদলেছে বাড়ির চেহারা। আগের মতো জাঁকজমক নেই। তবুও ঐতিহ্য রয়ে গিয়েছে দাঁইহাটের (Dainhat) কাঁসারী বাড়ির ৯০ বছরের পুরানো এই দুর্গা পুজোয় (Durga Puja 2023)। এক সময় বাড়ির গৃহকর্তী শরতবাসিনী দেবী এই পুজো প্রতিষ্ঠা করেন। রীতি অনুযায়ী, পঞ্চমী থেকেই দেবীর পুজো শুরু হয়ে যায় কাঁসারী বাড়িতে।
দেবী এখানে বৈষ্ণব মতে পূজিত হন। আগে সন্ধি পুজোর পূর্বে বন্দুক ফাটিয়ে পুজো শুরু হওয়া রীতি থাকলেও, কালের নিয়মে তা বন্ধ হয়েছে। এই পুজোর ভোগেও রয়েছে বিশেষত্ব। পঞ্চব্যঞ্জন, পুষ্পান্ন, পরমান্ন, ফলাদি, মিষ্টান্ন সহকারে দেবীকে ভোগ নিবেদন করা হয়।
দেবীর ভোগই নরণারায়ন সেবার মধ্যে দিয়ে বিতরণ করা হয়। চমক থাকে দশমী সকালেও। এদিন নীলকন্ঠ পাখি উড়িয়ে সিঁদুর খেলায় মাতেন বাড়ির বউরা। বহু দূরদুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন এই পুজোয়। স্থানিয়রাও অংশ নেন এই পুজোয়।
পুজোর পাশাপাশি অভিনবত্ব রয়েছে কাঁসারী বাড়ির পুজোর প্রতিমা তৈরিতেও। প্রতি বছর মহালয়ার আগে এই বাড়ির প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়ে যায়। বাড়ির সদস্যরা জানান এক বছর শারীরিক অসুস্থতার কারণে মহালয়ার আগে প্রতিমা সম্পন্ন করতে পারেননি মৃৎশিল্পী।
আরও পড়ুন - দ্বিতীয় বছরেই মাত, চোখ ধাঁধানো মণ্ডপসজ্জা, নিউটাউন সর্বজনীনের এ বছরের থিম 'কোমলগান্ধার'
সেই বছর মহালয়ার ভোরে ওই বাড়ির সদস্য শান্তিসুধা দাসের স্বপ্নে দেবী দুর্গা দেখা দেন। দেবীর স্বপ্নাদেশে ওই রাতে মৃৎশিল্পীকে ডেকে প্রতিমার বাকি কাজ সম্পন্ন করা হয়। তারপর থেকে আজও মহালয়ার পূর্বেই প্রতিমা তৈরির কাজ সেরে ফেলা হয়।