মাধ্যমিক পরীক্ষায় (Madhyamik Examination) এবছর যারা উত্তীর্ণ হয়েছে তারা আসলে শিক্ষিত বেকারে পরিণত হয়েছে। রাজ্যে শিক্ষা মেলার সূচনার দিন এমনটাই মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Shobhandev Chatterjee)। শোভনবাবুর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
রাজ্যে বিরোধীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কাজের খোঁজে পশ্চিমবঙ্গের শুধু শিক্ষিত ছেলেমেয়েদেরই নয়, অল্পশিক্ষিত শ্রমিকদেরও একটা বড় অংশকে ভিন রাজ্য পাড়ি দিতে হচ্ছে। তাই মমতার মন্ত্রিসভার সদস্য শোভনদেবের প্রকাশ্যে এহেন মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি রাজ্যের বেকার সমস্যা নিয়ে বিরোধীদের যে দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে, তা প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিলেন তিনি?
Madhyamik Candidate Suicide News in Nadia: মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হতেই চরম সিদ্ধান্ত নদিয়ার ছাত্রীর
শনিবার দুপুরে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে শিক্ষা মেলার আয়োজন হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ওই মেলায় অংশ নিয়েছিল। অনুষ্ঠানে শোভনদেব ছাড়াও হাজির ছিলেন রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও হুমায়ুন কবীর। তাঁদের সামনেই ভাষণ দিতে গিয়ে শোভনদেব বলেন, ‘‘এ বছর মাধ্যমিকে ১২ লক্ষ পড়ুয়া পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের মধ্যে পাশ করেছে ৮৬ শতাংশ। ওরা সবাই শিক্ষিত বেকার হয়ে গেল। এরপর ওরা উচ্চমাধ্যমিক দেবে, গ্র্য়াজুয়েশন দেবে, মাস্টার্স দেবে। এত ছেলে তৈরি হচ্ছে প্রতি দিন, কিন্তু ওরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু গ্র্য়াজুয়েট হয়ে চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু এমএ পাশ করে মিলছে না চাকরি।’’
খড়দহের তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেবের এই মন্তব্যের পর বিরোধীদের প্রশ্ন, মন্ত্রী কি আদতে রাজ্যের কর্মসংস্থানের বেহাল ছবিটাই প্রকাশ্যে তুলে ধরলেন? যদিও শাসক দলের দাবি, শোভনবাবু আসলে গোটা দেশের বেকারি সমস্যার কথাই বলতে চেয়েছিলেন। রাজ্যের কারিগরিমন্ত্রী হুমায়ুন কবীর অনুষ্ঠানে তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘গ্র্য়াজুয়েশন বা মাস্টার্সের মতো ডিগ্রি থাকলেও এখন চাকরি পেতে সমস্যা হয়। এখন ডিগ্রির সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণও।’’ হুমায়ুনের ভাষণের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শোভনদেবও আদতে হুমায়ুনের মতোই রাজ্যের তরুণ সমাজকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।