তাঁর দীর্ঘ ৪০ বছরের কেরিয়ারে সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat) স্পর্শ করেছিলেন বহু শিখর।
জল্পনা ছিল যে, অবসরের আগে রাওয়াতকে পাঁচতারা ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হতে পারে। জীবদ্দশায় সেই সুযোগ পেলেন না তিনি।
কীভাবে শুরু করেছিলেন নিজের কেরিয়ার? কোন কোন শিখর স্পর্শ করতে পেরেছিলেন তিনি? একবার দেখে নেবো আমরা।
১) নরেন্দ্র মোদীর জমানায় নিযুক্ত প্রথম সেনাপ্রধান ছিলেন বিপিন লক্ষ্মণ সিংহ রাওয়াত। পেয়েছেন উত্তম যুদ্ধ সেবা মেডেল, পরম বিশিষ্ট সেবা মেডেল, অতি বিশিষ্ট সেবা মডেল, বিশিষ্ট সেবা মডেল, যুদ্ধ সেবা মডেল, সেনা মডেল -সহ একাধিক সেনা-সম্মাননা।
২) ৩ বছর কাজ করার পর ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্থলসেনা প্রধান হিসেবে অবসর নেওয়ার কথা ছিল রাওয়াতের। তাঁর এক দিন আগেই দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক পদে তাঁকে নিযুক্ত করে মোদী সরকার।
৩) স্বাধীন ভারতের সামরিক ইতিহাসে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার সর্বাধিনায়ক হওয়ার কৃতিত্বের পালকও তাঁর টুপিতে। ছিলেন সমস্ত সামরিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শদাতা।
৪) গোর্খা রেজিমেন্টের তৃতীয় অফিসার হিসেবে ২০১৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর সেনাপ্রধান হন বিপিন রাওয়াত। তাঁর আগে এই শিরোপা ছিল গোর্খা রেজিমেন্টের মাত্র দু’জন অফিসারের। তাঁর মধ্যে একজন হলেন জেনারেল দলবীর সিং সুহাগ এবং ফিল্ড মার্শাল শ্যাম মানেকশ।
৫) উত্তরাখণ্ডের পৌড়ীতে জন্মানো বিপিন রাওয়াত ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে যোগ দেন সেনার ১১ গোর্খা রাইফেলসের পঞ্চম ব্যাটালিয়নে।
৬) তাঁর বাবা লেফটেন্যান্ট জেনারেল লক্ষ্মণ সিংহ রাওয়াত ভারতীয় সেনার সহ-সেনাপ্রধান হিসাবে অবসর নেন ১৯৮৮ সালে।
৭) শিমলার সেন্ট এডওয়ার্ড স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তিনি যান পুনেতে খড়কভাসলার ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে। এর পর দেরাদুনে ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষ করেন।
৮) তাঁর ৪০ বছরের দীর্ঘ সেনা-কেরিয়ারে তিনি উত্তর, পূর্ব এবং দাক্ষিণাত্যের বিভিন্ন বাহিনীর দায়িত্ব সামলেছেন।
৯) ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে সহ-সেনাপ্রধান পদে উন্নীত করা হয়।
১০) ২০১৫ সালে মণিপুরে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৮ জন জওয়ানের মৃত্যুর পর মায়ানমার সীমান্তে ভারতীয় সেনার যে ইউনিটটি জঙ্গি নিকেশ করেছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন বিপিন রাওয়াত।
১১) তিনি শুধুমাত্র একজন সেনা আধিকারিকই ছিলেন না। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন সামরিক কৌশল বিষয়ক বিদ্যার মনোযোগী ছাত্রও। তিনি এমফিল এবং পিএইচডিও করেছিলেন তাতে।